শাহবাগ চত্বরের গণজাগরণ আসলেই অনেক আশা জাগানিয়া একটা ব্যাপার। এই পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির দেশে মানুষ যে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য এখনো সরব হতে পারে, নিঃসন্দেহে এটা তার দারুণ এক প্রমাণ।
আমি ছিদ্রান্বেষী মানুষ নই কিন্তু কোন একটা আন্দোলনে আমার উপস্থিতিও নতুন নয়। সেইজন্যেই শাহবাগে দাঁড়িয়ে আমি যতটুকু না রোমাঞ্চিত হয়েছে ঠিক ততটুকু অস্বস্তিও বোধ করেছি। কি কি কারণে এমন অস্বস্তি আমার?
১।
"একটা দুইটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর" এটা ছাত্রলীগের বহু পুরানা স্লোগান। এই মূহুর্তে প্রজন্ম চত্বরের সবচে' জনপ্রিয় স্লোগান এটা। যে ছাত্র সংগঠনকে আমি মনে প্রাণে ঘৃণা করি, তাদের একটা স্লোগানে গলা মেলানো আমার জন্য অস্বস্তিকর।
২।
"ক তে কাদের মোল্লা, ব তে বাচ্চু" এইটা আরেকটা স্লোগান। শাহবাগে উপস্থিত অনেক শিশুদের আদর্শ লিপি পাঠ হয়ে যাচ্ছে এই রাজাকারগুলোর নাম দিয়ে। ভাষার মাসে বাংলা বর্ণমালাগুলো অনেক বেশি সম্মান প্রাপ্য।
৩।
নেতৃত্ব ছাড়া আন্দোলনে অবশ্যই কোন একটা মহল ফায়দা লুটবেই। এবং সেটা কোন একটা রাজনৈতিক দল হবে নিঃসন্দেহে। আমি যতই সাহারা খাতুনের মুখ থেকে মেগাফোন সরাই, তৌফিক এলাহী ডায়াসে আসলে "দালাল! দালাল!" বলে চ্যাঁচাই না কেন এই আন্দোলনকে অরাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিণাম হচ্ছে কোন একটা দলের নির্বাচনী বিজ্ঞাপন বনে যাওয়া। শুরুতে নিজের কাছে ব্যাপারটাকে Conspiracy Theory ই মনে হচ্ছিলো। পাঁচদিনেও সরকারের অতিমাত্রায় রহস্যজনক নীরবতা দেখে এটা বলে উপসংহার টানতে বাধ্য হচ্ছি।
৪।
এবার মনে হয় "ছাগু" ট্যাগ খেয়ে যাবো। পথনাটক দেখছিলাম বেশ কয়েকটা। অসাধারণ সব নাট্যশিল্পি, অত্যন্ত প্রাঞ্জল অভিনয়। বেশ ভালোরকম মেটাফোর নির্ভর গল্প, সাধারণ দর্শকের মাথার তিনহাত দিয়ে যাওয়ার কথা। নাটক শেষে দর্শকদেরকে যদি বলি- আপনি বুকে হাত দিয়ে বলুন, আপনার কি নাটকটা দেখে জামাত শিবিরের প্রতি আক্রোশ তৈরি হয়েছে? নাকি ইসলামের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ তৈরি হয়েছে?
একটা উত্তরও আসবেনা যে - নাটকটা দেখে আমার জামাত-শিবিরের প্রতি ঘৃণা গাঢ় হয়েছে। নট আ সিঙ্গেল ওয়ান। এবং একজন মুসলিম হিসেবে এটা আমার কাছে অবশ্যই আপত্তিকর। ব্যাপারটা হয়ে গেছে এমন - যাদের জন্য আমার আম্মুকে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিলো দিনের পর দিন, যাদের জন্য শিয়ালবাড়ি, রায়ের বাজারে কুকুর-শকুনের ভোজ হয়েছে আমার পূর্বসূরিদের মৃতদেহ, তাদের বিচারের জন্য আমার সামনে একটাই শর্ত। সেটা হচ্ছে - ধর্মানুভূতি মুছে ফেলো, তাহলেই বিচার হবে। ওইসব জিঘাংসা এত যত্ন করে পুষে কোন লাভ নাই।
courtesy: Tanweer Xenon Hasan
আমি ছিদ্রান্বেষী মানুষ নই কিন্তু কোন একটা আন্দোলনে আমার উপস্থিতিও নতুন নয়। সেইজন্যেই শাহবাগে দাঁড়িয়ে আমি যতটুকু না রোমাঞ্চিত হয়েছে ঠিক ততটুকু অস্বস্তিও বোধ করেছি। কি কি কারণে এমন অস্বস্তি আমার?
১।
"একটা দুইটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর" এটা ছাত্রলীগের বহু পুরানা স্লোগান। এই মূহুর্তে প্রজন্ম চত্বরের সবচে' জনপ্রিয় স্লোগান এটা। যে ছাত্র সংগঠনকে আমি মনে প্রাণে ঘৃণা করি, তাদের একটা স্লোগানে গলা মেলানো আমার জন্য অস্বস্তিকর।
২।
"ক তে কাদের মোল্লা, ব তে বাচ্চু" এইটা আরেকটা স্লোগান। শাহবাগে উপস্থিত অনেক শিশুদের আদর্শ লিপি পাঠ হয়ে যাচ্ছে এই রাজাকারগুলোর নাম দিয়ে। ভাষার মাসে বাংলা বর্ণমালাগুলো অনেক বেশি সম্মান প্রাপ্য।
৩।
নেতৃত্ব ছাড়া আন্দোলনে অবশ্যই কোন একটা মহল ফায়দা লুটবেই। এবং সেটা কোন একটা রাজনৈতিক দল হবে নিঃসন্দেহে। আমি যতই সাহারা খাতুনের মুখ থেকে মেগাফোন সরাই, তৌফিক এলাহী ডায়াসে আসলে "দালাল! দালাল!" বলে চ্যাঁচাই না কেন এই আন্দোলনকে অরাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিণাম হচ্ছে কোন একটা দলের নির্বাচনী বিজ্ঞাপন বনে যাওয়া। শুরুতে নিজের কাছে ব্যাপারটাকে Conspiracy Theory ই মনে হচ্ছিলো। পাঁচদিনেও সরকারের অতিমাত্রায় রহস্যজনক নীরবতা দেখে এটা বলে উপসংহার টানতে বাধ্য হচ্ছি।
৪।
এবার মনে হয় "ছাগু" ট্যাগ খেয়ে যাবো। পথনাটক দেখছিলাম বেশ কয়েকটা। অসাধারণ সব নাট্যশিল্পি, অত্যন্ত প্রাঞ্জল অভিনয়। বেশ ভালোরকম মেটাফোর নির্ভর গল্প, সাধারণ দর্শকের মাথার তিনহাত দিয়ে যাওয়ার কথা। নাটক শেষে দর্শকদেরকে যদি বলি- আপনি বুকে হাত দিয়ে বলুন, আপনার কি নাটকটা দেখে জামাত শিবিরের প্রতি আক্রোশ তৈরি হয়েছে? নাকি ইসলামের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ তৈরি হয়েছে?
একটা উত্তরও আসবেনা যে - নাটকটা দেখে আমার জামাত-শিবিরের প্রতি ঘৃণা গাঢ় হয়েছে। নট আ সিঙ্গেল ওয়ান। এবং একজন মুসলিম হিসেবে এটা আমার কাছে অবশ্যই আপত্তিকর। ব্যাপারটা হয়ে গেছে এমন - যাদের জন্য আমার আম্মুকে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিলো দিনের পর দিন, যাদের জন্য শিয়ালবাড়ি, রায়ের বাজারে কুকুর-শকুনের ভোজ হয়েছে আমার পূর্বসূরিদের মৃতদেহ, তাদের বিচারের জন্য আমার সামনে একটাই শর্ত। সেটা হচ্ছে - ধর্মানুভূতি মুছে ফেলো, তাহলেই বিচার হবে। ওইসব জিঘাংসা এত যত্ন করে পুষে কোন লাভ নাই।
courtesy: Tanweer Xenon Hasan
No comments:
Post a Comment
Thank You........ For your feedback