ডেনমার্ক কিংবা কানাডায় কেউ বিশ্বনবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ কার্টুন তৈরি করলে কিংবা পশ্চিমা দুনিয়া অবমাননাকর ফিল্ম বানালে বাংলাদেশের আকাশে বাতাশে তার বিরোদ্ধে মুসলিমদের প্রতিবাদের ঝড়ের শব্দ শোনা যায়। মহাম্মাদ সা: কে 'মহা উম্মাদ' বলে উচ্চারণ অযোগ্য অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করা নাস্তিক ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন, ফেসবুক ইউজার রাতুল, অন্ধ পুথিবী প্রমুখ স্বঘোষিত নাস্তিকদের ডাকে সেই মুসলিরাই আজ শাহবাগে জড়ো হয়েছে মানবতা বিরোধী অপরাধের রায় বিরোধী সমাবেশে!!
তাদের প্রাথমিক দাবি ছিল কাদের মোল্লার ফাঁশি, এরপরে সেটা উন্নীত হয়েছে জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে, আন্দোলনের সর্বশেষ ভার্সন হলো ইসলামিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি!!! জাত চেনাতে যে নাস্তিকরা দেরি করবে না, সেটা জানা ছিল আগেই। তবে নামধারী অবচেতন মুসলিমরা যে বুঝতে অনেক দেরি করে ফেলছে সেটাই শংকার বিষয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চাওয়া যে কারো অধিকারই নয় কেবল, নৈতিক দায়িত্বও বটে। তবে গণহত্যাই কেবল মানবতা বিরোধী অপরাধ নয়, যে কোন হত্যাই মানবতা বিরোধী অপরাধ। সুরা মায়েদা আয়াত নং ৩২ এ আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি কোন একজন নিরপরাধ মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করবে, সে যেন সকল মানুষকে (গোটা মানবতাকে) হত্যা করলো।
মাত্র একজন মানুষকে হত্যার দায়ে যদি মানবতা হত্যার অভিযোগ করা যায়, তবে লাখো মানুষের হত্যার দায় কতো বড়? কিন্তু সেই গণহত্যার জন্য কে কতোটা দায়ী, তা সন্দেহাতীত ভাবে না জেনে মন্তব্য করা কোন বিবেচকের জন্যই সমীচীন নয়। বিশেষ করে গণতান্ত্রির রাজনীতির ফায়দা লুটার সমাজে বিষয়টি আরো বেশি জটিল। সবচে বড় কথা হলো, মানবতা বিরোধী অপরাধের বিরোদ্ধে যদি এমন কোন শ্রেণী নেতৃত্ব দেয়, যারা নিজেদের দাবি মতেই ইসলামের চূড়ান্ত শত্রু হওয়া দিনের বেলায় সূর্যের আলোর মতো পরিস্কার-তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করা শুধু মানবতা বিরোধী অপরাধের বিরোদ্ধেই অবস্থান নয়, ইসলামের বিরোদ্ধেও অবস্থান বটে। কারণ এই আন্দোলনের সবচে বড় ফসলটি তুলবে সেসব নাস্তিকরা, এতে মানবতা বিরোধী অপরাধের রায় বিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি তাদের চেতনাও অনেকাংশে প্রতিষ্ঠিত হবে।
তাদের প্রাথমিক দাবি ছিল কাদের মোল্লার ফাঁশি, এরপরে সেটা উন্নীত হয়েছে জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে, আন্দোলনের সর্বশেষ ভার্সন হলো ইসলামিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি!!! জাত চেনাতে যে নাস্তিকরা দেরি করবে না, সেটা জানা ছিল আগেই। তবে নামধারী অবচেতন মুসলিমরা যে বুঝতে অনেক দেরি করে ফেলছে সেটাই শংকার বিষয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চাওয়া যে কারো অধিকারই নয় কেবল, নৈতিক দায়িত্বও বটে। তবে গণহত্যাই কেবল মানবতা বিরোধী অপরাধ নয়, যে কোন হত্যাই মানবতা বিরোধী অপরাধ। সুরা মায়েদা আয়াত নং ৩২ এ আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি কোন একজন নিরপরাধ মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করবে, সে যেন সকল মানুষকে (গোটা মানবতাকে) হত্যা করলো।
মাত্র একজন মানুষকে হত্যার দায়ে যদি মানবতা হত্যার অভিযোগ করা যায়, তবে লাখো মানুষের হত্যার দায় কতো বড়? কিন্তু সেই গণহত্যার জন্য কে কতোটা দায়ী, তা সন্দেহাতীত ভাবে না জেনে মন্তব্য করা কোন বিবেচকের জন্যই সমীচীন নয়। বিশেষ করে গণতান্ত্রির রাজনীতির ফায়দা লুটার সমাজে বিষয়টি আরো বেশি জটিল। সবচে বড় কথা হলো, মানবতা বিরোধী অপরাধের বিরোদ্ধে যদি এমন কোন শ্রেণী নেতৃত্ব দেয়, যারা নিজেদের দাবি মতেই ইসলামের চূড়ান্ত শত্রু হওয়া দিনের বেলায় সূর্যের আলোর মতো পরিস্কার-তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করা শুধু মানবতা বিরোধী অপরাধের বিরোদ্ধেই অবস্থান নয়, ইসলামের বিরোদ্ধেও অবস্থান বটে। কারণ এই আন্দোলনের সবচে বড় ফসলটি তুলবে সেসব নাস্তিকরা, এতে মানবতা বিরোধী অপরাধের রায় বিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি তাদের চেতনাও অনেকাংশে প্রতিষ্ঠিত হবে।
No comments:
Post a Comment
Thank You........ For your feedback