For Test transmissions now play a Radio from online

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ও কৃষি বাঁচাতে

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ও কৃষি বাঁচাতে প্রস্তাবিত উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রাজশাহীতে পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ রাজশাহীর উন্নয়নে ২৩ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে। গত ৩০ নভেম্বর রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বরে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত বিশাল কৃষক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
কৃষক সমাবেশ থেকে রাজশাহী অঞ্চলের কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে প্রয়োজনে রাজপথের আন্দোলনের পাশাপাশি হরতাল কর্মসূচির মতো কঠোর কর্মসূচিরও ঈঙ্গিত দেওয়া হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও রাসায়নিক সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার এবং ভূ-গর্ভস্ত পানির অস্বাবাবিক ব্যবহারের কারণে রাজশাহী অঞ্চলের কৃষিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। জমির উর্বরতা হ্রাস পেয়ে উৎপাদন কমে যাচ্ছে। ফসলের দাম পাচ্ছেন না কৃষক। এসব সমস্যা থেকে কৃষককে ফসলের ওপর কৃষি অধিকার দিতে হবে।
রাজশাহী জেলা লোক মোর্চার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে রাজশাহী নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা অংশ নিয়ে কৃষি ও কৃষককে বাঁচানোর দাবি জানান। 

রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য ও রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজসেবী শাহীন আক্তার রেনী। 
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, রাজশাহী চেম্বার সভাপতি আবু বাক্কার আলী, বিএনপি নেতা ও যুবদল সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জাতীয় কৃষক সমিতির নেতা মতিউর রহমান তপন, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সিপিবি রাজশাহী মহানগর কমিটির সভাপতি অবুল কালাম আজাদ, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এনামুল হক, অ্যাডভোকেট নাজমুস সাদাৎ, ডা. এফ এম এ জাহিদ, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাংগাঠনিক সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, ওয়েব ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম, জাসদ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, জাপা নেতা সালাহ উদ্দিন মিন্টু, রাসিকের কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, সাংবাদিক আলমগীর কবীর তোতা প্রমুখ।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহীর কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়ন ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানান। তিনি বলেন, বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন হলেও কৃষকের কথা কেউ বলেন না। কৃষকরা জাতীয়ভাবে উপেক্ষিত। অর্থমন্ত্রী অর্থ নিয়ে, গার্মেন্ট শিল্প নিয়ে অনেক কথা বলেন, বিভিন্ন শিল্প নিয়ে কথা বলেন তবে কৃষি নিয়ে কোনো কথা বলেন না। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার উল্লেখ করে বাদশা বলেন, বর্তমানে মানুষ কৃষিতে ঝুঁকেছেন। ফসল উৎপাদন করছেন। তবে ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী কৃষককের কথা না বললেও এদেশে প্রাণ আমাদের কৃষক এ কথা সবাই মানবে। তিনি বলেন, মাঠে কৃষক ফসল উৎপাদন করবে আর ফসলের দাম পাবে না তা হতে পারে না।
সংসদ সদস্য বাদশা বলেন, কৃষিকে প্রাধান্য দিতে হবে। কৃষিতে ভর্তুকি দিতে হবে। সরকারের দুর্নীতির কারণে কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, রাজশাহীর বন্ধ রেশম কারখানা চালু, পদ্ম বড়াল পুনর্খননসহ ভূ-গর্ভস্থ পানির অবাধ ব্যবহার বন্ধ করে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রস্তাবিত উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানান। 

স্বাগত বক্তব্যে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিনের দাবি উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প নিয়ে আন্দোলন করছে। বরেন্দ্র অঞ্চলের জলায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কৃষক ও কৃষিজমি রক্ষা ও গবেষণার জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের ঘোষিত ২৩ দফা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয় জানাচ্ছি।
এছারাও জামাত খান আরও বলেন, জানুয়ারি মাসে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। পরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজশাহীবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ফেব্রুয়ারী মাসে প্রয়োজনে রাজশাহীতে হরতাল কর্মসূচি দেয়া হবে।

No comments:

Post a Comment

Thank You........ For your feedback

Free counters!

Search This Blog